প্রতিদিন নতু্ন নতুন বাড়ির নকশার ছবি সাথে খরচ সহ পোস্ট করা হয়। একতলা বাড়ি গ্রামের জন্য খুবি চমৎকার দেখতে খরচ সহ বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - House Design

Header Ads

একতলা বাড়ি গ্রামের জন্য খুবি চমৎকার দেখতে খরচ সহ বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

আপুনারা যারা টিনসেড বাড়ি করতে চাচ্ছেন

যাদের বাজেট কম

ছোট পরিবার ফ্যামিলি মেম্বার সংখ্যা কম, তাদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে আপনি এই বাড়িটি করতে পারেন।

একতলা বাড়িটি ব্রিক ফাউন্ডেশন দিয়ে ৮০০ স্কয়ারফিট

ভিতরে ৩ রুম একটি ড্রয়িং ড্রাইনিং একসাথে

একটি কমন টয়লেট

একটি কিচেন

খরচ পরবে ৮/৯ লাখ টাকা।

মাটি কাটা থেকে শুরু করে বাড়িটির শেষ পর্যন্ত মানে টাইলস পর্যন্ত কোথায় কি মালামাল এবং বর্তমান বাজারে কোন মালামালের রেট কত করে মোট কত টাকা খরচ পড়রে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ইমু নাম্বারে 01684246414

ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদের

বাড়িটি কিভাবে কাজ করবে যদি ডিজাইনের প্রয়োজন মনে করে থাকেন কল দিয়ে যাবাবেন।

ফ্রিতে কোন ডিজাইন করে দেওয়া হয়না।

জিবনের মুল্যবান সময় ব্যয় করে অনেক কষ্টের অর্থ উপার্জন করেছেন, তাই বিনিয়োগ করে বিল্ডিং বা যে কোন স্থাপনা করার পূর্বে এই বিষয় গুলো খেয়াল করবেন।

১। সুন্দর মনের মত দক্ষিনা আলো বাতাস সহ বাড়ি তৈরিতে যেমন একজন স্থপতি মানে ইঞ্জিনিয়ার দরকার তেমনি ঠিক মজবুত কাঠামো নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন ।

২। বাড়ি তৈরির পূর্বে বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা করে নিবেন এবং অবশ্যই ভাল ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মূল্যায়ন করিয়ে নিবেন যাতে আপনার রড সহ সকল মালামাল বেশি ব্যভার না হয়।

৩। বাড়ি তৈরির সময় একজন সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার রাখবেন অথবা ইঞ্জিনিয়ার সাথে যোগাযোগ নিয়মিত রাখুন, যাতে কাজের মান ভালভাবে হচ্ছে কিনা তধারকি করে দিতে পারেন এবং ড্রয়িং অনুযায়ী কাজটি সম্পূর্ণ হচ্ছে কিনা যাচাই করে নিতে পারেন। সরাসরি সম্ভব না হলে ভিডিও কলে তধারকি করে নিতে পারবেন

৪। দক্ষ পরিচিত মিস্ত্রি নিন, যাদের আগে কয়েকটি সম্পর্ণ বাড়ির কাজের অভিজ্ঞতা আছে।

৫।সকল কর্মীর এবং প্রতিবেশীর জান, মাল নিরাপদ রাখা আপনার দায়িত্ব যতদিন পর্যন্ত আপনার স্থাপনা বা বাড়ির কাজ শেষ না হচ্ছে।

৬।আপনি যে গ্রেড (৬০, ৪০,,৭৫) এর রড কিনছেন দোকানি কি সব রড ঠিক গ্রেড এবং একই কোম্পানির দিয়েছে কিনা এটা নিশ্চিত করুন। একবার মিলিয়ে নিন আপনার ডিজাইনে কোন গ্রেডের রডের কথা বলা আছে।

৭।কাজের আগেই সিমেন্ট ব্যাগ খুলে পরিক্ষা করুন, যদি দেখেন সিমেন্ট জমাট বা গুটি গুটি বেধে আছে সেই ব্যাগ গুলো পরিবর্তন করুন।

৮। বালি দানাটা দেখে কিনুন , ভালিতে আয়রন আছে কিনা দেখে নিন। যাতে বালির এফ এম(FM= Fineness Modulus ) ঠিক থাকে। কাজের পূর্বে চালনি দিয়ে চেলে নিন যাতে ময়লা না থাকে।

৯। খোয়া (পাথর, ইটের) সে আপনি যাই দিন, কেনার সময় অবশ্য দেখে কিনুন পরিষ্কার এবং ভাল মানের খোয়া আছে কিনা অথবা খুব বড় বড় খোয়া বা পাথর কিনা। ব্যবহারের পূর্বে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন।

১০। ঢালাইয়ের কাজ শেষ হবার পর কিউরিং করুন। বিশেষ করে কলাম, বীম, সিড়ি ,ছাদ। প্রয়োজনে চট মুড়িয়ে নিন যাতে পানি বেশি সময় ধরে রাখে, যেন পানি অনেকক্ষণ ধরে রাখতে পারে।<p>

***************************************************************************

বাড়ি তৈরি করার আগে একজন সমাজে ভালো মানুষ হিসেবে মানবিকতাবোধ থেকে কিছু বিষয় মাথা রাখতে হয়। তারমধ্যে অন্যতম হলো বাড়িটি যেন সমাজ বা পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে আপনার বাড়ির কারনে যেন কারো অসুভিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

পাশাপাশি বাড়ি নির্মাণের আগে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হয় এর অবকাঠামোগত দিক নিয়ে। দুইদিন পরপর তো আর বাড়ি করবেন না, হয়তো জিবনে একবারই বাড়ি করবেন তাই ভূমিকম্পের মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো অগ্নিকাণ্ডে যদি অনেক সখের বাড়িটি ক্ষতি বা ধ্বংস হয়ে যায় এবং সেটি যদি মানুষের প্রাণহানির কারণ হয় তবে বিনিয়োগ ও জীবনের হুমকি দুই-ই থেকে যায়।

তাই, বাড়িটি যেন হয় দীর্ঘমেয়াদী ও মজবুত এবং টেকসই সাথে পরিবেশ বান্ধব সেইদিকে নজর রাখতে হবে। আর এইসব বিষয়গুলো নিশ্চিত করে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় আনা উচিত

 সুন্দর বাড়ি তৈরিতে যেমন একজন স্থপতি দরকার তেমনি মজবুত কাঠামো নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন।বহুতল ভবনে যিনি আপনার বাড়ির ভিত্তি (ফাউন্ডেশান), রড, সিমেন্টের সুষম ডিজাইন করে দিবেন। যা বাড়িকে ভূমিকম্প, ঝড় থেকে সুরক্ষা দিবে। এরা আপনার বাড়ির ডাক্তার। মোটেই অবহেলা করবেন না। আজকের একটু ভুলে ভবিষ্যতে অনেক মূল্য দিতে হতে পারে। আপনার বিনিয়োগ এবং জীবন পড়বে ঝুঁকির মুখে। তাই যদি সম্ভব হয় বাড়ি নির্মাণের শুরুতে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিন অথবা ইঞ্জিনিয়ার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন যাতে প্রয়োজনে পাশে থাকে।



আগে থেকে পরিকল্পনা করুন

ছাদ ঢালাইয়ের মতো কিছু বিশেষ কাজ বৃষ্টি চলাকালীন করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ঢালাইয়ের পর যখন কিউরিং দরকার হয়, তখন বৃষ্টির পানি আপনার পরিশ্রম কমিয়ে দিতে পারে।

ধন্যবাদ

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.